জীববিজ্ঞানের ধারনাঃ 
যাদের জীবন আছে তারাই জীব আর যাদের জীবন নেই তারাই জড়। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি কথাটি। তাই না? হ্যাঁ… এই মহাবিশ্বের সব পদার্থকেই এরকম মোটা দাগে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ            ১। জীব               ২। জড়। 
কিন্তু কোথায় জড়ের শেষ আর কোথায় জীবের শুরু তা বলা প্রায়ই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। জড় জগতকে পদার্থবিজ্ঞান আর রসায়নের সেই একই নিয়ম যেভাবে নিয়ন্ত্রন তা জীবের ভিত্তিমূলেও কাজ করে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে জীবজগতকে বুঝতে হলে পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন বুঝতে হবে। তাই বলে কি জীববিজ্ঞান আলাদাভাবে পড়তে হবে না? না… পড়তে হবে…। হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন মিলে যেমন পানি হয় যা পুরোপুরি হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন থেকে ভিন্ন। তেমনি বিভিন্ন জড়ের সমন্বয়েই জীব এবং তাতেও নতুন বৈশিষ্টের আবির্ভাব ঘটে যেমনটা পানির ক্ষেত্রে ঘটেছিল। আর এভাবে নতুন বৈশিষ্ট আসায় জীববিজ্ঞানও আলাদাভাবে পড়ার দরকার আছে।

জীববিজ্ঞান (biology) এসেছে গ্রিক bios (জীবন) ও logos(জ্ঞান) থেকে। বহু পুরোনো বিজ্ঞান ...। কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের যেহেতু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই এর চর্চাও আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে এটা বুঝতে কোনো সমস্যা হয় না। অর্থাৎ জীববিজ্ঞানের একটা সংজ্ঞা আমরা এভাবে দাঁড় করাতে পারি, “বিজ্ঞানের যে শাখায় জীব জগত নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে জীববিজ্ঞান বলে ।”